/ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর /
২৪খবরবিডি: 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারত থেকে কী এনেছেন এবার? পানির কথা কোথাও নেই। যেটা আছে, সেটা ভয়াবহ। সেটা হচ্ছে- তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির জন্য ভারত ভালো প্রস্তাব দিয়েছে, চীনও দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, দুটোর মধ্যে দেখবো কোনটা ভালো হয়। আবার এ-ও বলেছেন, ভারত যে প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতকে যদি কাজটা দেই, তাহলে পানির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা তো সব বোকা মানুষ এই দেশে বাস করি? তিনি বলেন, পক্ষান্তরে আপনি যেটা করেছেন, তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা; সেটা বাতিল করে দিলেন। অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন সমস্যা, সমস্যা রইলো না।'
'এবার বাংলাদেশকে পুরোপুরি ভারতের কাছে জিম্মি করে দিচ্ছেন। পৃথিবীর কোন দেশ আছে, যেখানে সীমান্তে তার বন্ধু দেশের নাগরিকদের হত্যা করা হয়, অনুষ্ঠানে প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি'র দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আজ বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আপনারা দেখেছেন, যেসব চুক্তি ও সমঝোতা করা হচ্ছে, এর কোনোটাই বাংলাদেশের পক্ষে নয়। একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি আবার আমাদের সবক দেন যে আমরা নাকি চুক্তি আর সমঝোতার মাঝে পার্থক্য বুঝি না। আমাদের তিনি পড়াশোনা করার জন্য
পরামর্শ দেন। আমি উনার কথার উত্তর দিতে চাই না। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই, দেশের সঙ্গে বেইমানি করবেন না। মানুষকে বোকা বানিয়ে, তাদের ভুল বুঝিয়ে, এমন চুক্তি ও সমঝোতা সই করবেন না, যেগুলোর আমার জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে।'
'সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা করা হয়, গতকালও হত্যা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা (সরকার) একটা কথাও বলেননি। আপনাদের কাছে আমাদের সরাসরি প্রশ্ন, পৃথিবীতে কোন দেশ আছে... বন্ধু দেশ, একেবারে এত বন্ধুত্বপূর্ণ, যে সম্পর্ক নাকি স্বামী-স্ত্রীর মতো। তাহলে কোন দেশ আছে, যে তার সীমান্তে বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদের গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এই বিষয়গুলোর জবাব দিতে হবে।
'এবার ভারত থেকে কী এনেছেন প্রধানমন্ত্রী': মির্জা ফখরুল
আপনারা (সরকার) আত্মরক্ষার্থে যেসব কথা বলেন, এসব কথা বলে জনগণকে বোকা বানাতে পারবেন না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কেন বন্দি করে রেখেছেন, সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, কোনও সমস্যা যদি না থাকে, তাহলে মুক্তি দেন। সেদিকে তো আপনারা যাচ্ছেন না। আমরা এ-ও বলেছি, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা শুধু চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।'
'সেই নির্বাচনে যারা আসবে তাদের আমরা ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেবো। আপনারা শুধু আপনাদের রাখার জন্য সমস্ত নির্বাচন ব্যবস্থাকে দখল করে নেবেন, সাধারণ মানুষের কথা একবারও চিন্তা করবেন না, সেটা আমরা হতে দেবো না। নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও ফোরামের সদস্য সচিব এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শিরীন সুলতানা, সরাফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও গোলাম মাওলা শাহীন প্রমুখ।'