প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে হবিগঞ্জের বিভিন্ন পশুরহাট। ইতিমধ্যে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা পশু বাজারে তুলছেন খামারিরা। তবে ভারতীয় পশু প্রবেশ করার শঙ্কা ও গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে গরুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারিরা। সরেজমিনে বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, হবিগঞ্জে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন পশুরহাটে ও খামারে পশু বিক্রি করছেন খামারিরা। মাধবপুরের আন্দিউরা গ্রামের পিওর অ্যান্ড অর্গানিক ডেইরি ফার্ম, নবীগঞ্জের এমবি অ্যাগ্রো ফার্ম, গ্রিন বাংলা অ্যাগ্রোসহ কয়েকটি খামারে কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।'
'ইতিমধ্যে শুনছি বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে গরু ঢুকছে। সেই তথ্য আমাদের কাছে আতঙ্কের। বিগত এক বছর গরু লালন-পালন করতে গিয়ে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় গরুর পেছনে ব্যয় বেড়েছে। ফলে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। তিনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রদান ও গো খাদ্যের দাম খামারিদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
'ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় গরু প্রবেশের শঙ্কায় খামারিরা'
হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, হবিগঞ্জ জেলায় এ বছর কোরবারিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে এক লাখ। আমাদের চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার। ফলে আমাদের চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় গবাদিপশু সরবরাহ করা যাবে। তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে ভারতীয় গরু প্রবেশের শঙ্কা নেই। ফলে দেশীয় গরু বিক্রি করে খামারিরা অনেকটাই লাভবান হবেন।'