সর্বশেষ

'ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসিজের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন' : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ :


/ কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ /

২৪খবরবিডি: 'পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধে যে রায় দিয়েছে, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, এ রায়কে আমরা ইতোমধ্যে সমর্থন জানিয়েছি। আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে- সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে এ রায় সহায়ক হবে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কূটনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আমরা আশা করি, ইসরায়েল আইসিজের রায় মেনে চলবে এবং গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।'
 

'আজ শনিবার বিকালে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশ'র ভাইস-চেয়ার লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ৪ জন এমপিসহ ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসেজের রায় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওসব কথা বলেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, ১০ বছর আগে যখন ঢাকায় এসেছিলাম, তখন ট্র্যাফিক জ্যাম পোহাতে হয়েছিল। আজ বিমানবন্দর থেকে খুব সহজেই এখানে চলে আসতে পেরেছ ি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কারণেই সম্ভব হয়েছে। হাছান মাহমুদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দেশটি বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগ রয়েছে ইউকে'র। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ এমপিবৃন্দ সফরে এসেছেন। এ দেশের সংসদের সাথে ইউকে সংসদের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধিও এই সফরের উদ্দেশ্য।'


'রোহিঙ্গা-রাখাইন পরিস্থিতি আলোচনায়'-
'রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান। তারাও আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। কিছুদিন আগে ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, সেটিও আজকের বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।রাখাইনে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অবস্থান প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই উত্তেজক পরিস্থিতি কিছু দিন ধরেই চলছে।

'ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসিজের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন' : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছেন। আমরা এ বিষয়ে সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে যদি মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে। নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুলসংখক রোহিঙ্গার কারণে ইতোমধ্যেই আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। মানবিক কারণে তখন আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি, মিয়ানমারের পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত