প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে না, এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে এই নির্বাচন নিয়ে দলের উচ্চ পর্যায়ে দুই ধরনের ভাবনা তৈরি হয়েছে। একটি হলো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলার ভোটও বর্জন করে ভোটার উপস্থিতি কমানো। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোট বর্জনের নজির স্থাপন করা। দ্বিতীয় ভাবনা হলো, তৃণমূলের মনোভাব জানতে কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা। আগ্রহী নেতাদের নির্বাচনে যেতে নিরুৎসাহ করা। এর পরও কেউ ভোটে অংশ নিতে চাইলে তাঁদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা না দেওয়া। গত সোমবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নৌকা প্রতীকে এবার আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না।'
'এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে আগে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। নইলে নির্বাচন হবে, কিন্তু জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে না। দলের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার বিশ্লেষণ, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও স্থানীয় পর্যায় থেকে কেউ আগ্রহ দেখায়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরপরই আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নেতাকর্মীরা আগ্রহ হারিয়েছেন। নেতাকর্মীদের এই মনোভাব অটুট থাকলে উপজেলা
'বিএনপিতে মত বাড়ছে উপজেলা ভোটে যাওয়ার পক্ষে'
নির্বাচনও বর্জনের ডাক দেওয়া যেতে পারে। দলের নেতারা মনে করেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি 'গণঅনাস্থা' জানানোর পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে। দলের গুরুত্বপূর্ণ দুইজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা বলেন, বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। দল হিসেবে এই অর্জনের পরপরই উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার প্রেক্ষাপট নেই। এতে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাবে।'