প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৩ দিনের জন্য মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। তারা ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সোমবার রাতে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের মধ্যে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।'
'কী পরিমাণ সেনা সদস্য থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, গতবার ৩৫ হাজারের মতো ছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয় আমরা সেটা করবো। গতবার ৩৮৮টি উপজেলায় সশস্ত্র বাহিনী এবং ৮৭টি উপজেলায় বিজিবি ছিল। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আজকে প্রারম্ভিক আলোচনা হয়েছে। যদি কমিশন নিয়োজিত করে, রাষ্ট্রপতি যদি সদয় সম্মতি জানান, তাহলে এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। তখন এটা বলা যাবে।
'সংসদ নির্বাচনে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী'
পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। নীতিগতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করবে বলে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পিএসও মহোদয় স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, কমিশন যেভাবে চাইবে, তারা সেভাবে দায়িত্ব পালন করবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগে ও পরে মিলিয়ে ১০ দিন বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য 'এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার' বিধানের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। নির্বাচনি এলাকাগুলোতে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হয়।'