সর্বশেষ

'চার মামলায় বিএনপির ১০৭ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড'

প্রকাশ :


/ প্রতীকী ছবি /

২৪খবরবিডি: 'নাশকতা, সংঘর্ষ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ১০৭ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চারটি মামলার একটি এক দশক আগের, একটি আট বছর আগের, একটি ছয় বছর আগের এবং একটি পাঁচ বছর আগের। গত রবিবার ও গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী ও আতাউল্লাহর আদালত এসব রায় দেন। চার মামলার মধ্যে এক দশক আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় নাশকতার অভিযোগের মামলার রায় দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী।'
 

'এই মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরবসহ দলটির সাত নেতাকর্মীকে আড়াই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাজেদুল ইসলাম সুমন, গাণ্ডু শাহিন, বেল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক। রায় ঘোষণার আগে কারাগার থাকা নীরবকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর তাঁকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠান বিচারক। অন্য ছয় আসামি পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। একই দিন আট বছর আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ১৪ জনকে দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহ। সোহেল ছাড়া কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুর বারী হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্ পাদক মীর শরাফত আলী সপু। রায়ে প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই টাকা না দিলে তাঁদের আরো এক মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় আসামিদের এক বছর করে কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। এই অর্থদণ্ড পরিশোধ না করলে তাঁদের আরো দুই মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আসামিরা পলাতক থাকায় বিচারক তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের প্রথম ভাগে টানা তিন মাস হরতাল-অবরোধ করে।'


'সে সময় নাশকতা ও সংঘর্ষের বিভিন্ন ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়। নিউ মার্কেট থানার এ মামলা তারই একটি। এ ছাড়া ছয় বছর আগে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ২৪ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল,

'চার মামলায় বিএনপির ১০৭ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড'

তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি আকরামুল হাসান মিন্টু, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদল দক্ষিণের সভাপতি এনামুল হক এনাম। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়। এজাহার অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয়ে ফেনী যাওয়ার কথা ছিল। তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে আসামিরা পুলিশের কাজে বাধা দেন।'
 

'এ ছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তাঁরা। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। এসব মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনজীবী ছিলেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, নেহাল হোসেন ফারুক, শেখ শাকিল আহমেদ রিপনসহ আরো অনেকে। আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ২৪খবরবিডিকে বলেন, গতকালও (১৯ নভেম্বর) পাঁচ বছর আগের একটি মামলার রায় দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী। ২০১৮ সালের রাজধানীর বংশালে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছিল। এই মামলায় বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আখতার হামিদ খান পবনসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের ৬২ নেতাকর্মীকে সাড়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী এই রায় দিয়েছেন। এসব রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ২৪খবরবিডিকে বলেন, এই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারও হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকেই। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা আমাকে জানিয়েছেন, বিচারিক প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ না করেই বিচারিক আদালত মামলাগুলোর বিচার করছেন। অর্থাৎ গোটা বিচারপ্রক্রিয়াই হচ্ছে তড়িঘড়ি করে। সম্ভাব্য প্রার্থীসহ বিএনপির যাঁরা বিভিন্ন পদে আছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এমনটি করা হচ্ছে। এসব মামলায় তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করাই হচ্ছে আদালতের মূল লক্ষ্য।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত