সর্বশেষ

'প্রধানমন্ত্রী মাত্র ১৪ মিনিটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হলেন'

প্রকাশ :


/ মাত্র ১৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্তে পৌঁছায় / ছবি : পিআইডি

২৪খবরবিডি: 'মাত্র ১৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্তে পৌঁছায়। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরের কাছে উড়াল সড়কের কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় টোল দিয়ে ফলক উন্মোচন মঞ্চে ওঠেন। এরপর বোতাম চেপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।'
 

'উদ্বোধনের পর বিকেল ৩টা ৪৪ মিনিটে দক্ষিণ কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেটের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর রওনা হয়। পরে বিকেল ৩টা ৫৮ মিনিটে ফার্মগেট প্রান্তে এসে পৌঁছায়। ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পার হতে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের লেগেছে মাত্র ১৪ মিনিট। এদিকে উড়াল সড়কের টোল নির্ধারণ করে কয়েকদিন আগে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ফেজের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চার শ্রেণির যানবাহনের মধ্যে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (তিন টনের কম) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঝারি ধরনের ট্রাকের (ছয় চাকা পর্যন্ত) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২০ টাকা এবং বড় ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ টাকার মধ্যে ভ্যাটও অন্তর্ভুক্ত করা আছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকেই এ টোলহার কার্যকর হবে। নির্ধারিত অংশের যেকোনো স্থানে ওঠানামার ক্ষেত্রে এ টোলহার প্রযোজ্য হবে। শনিবার নির্ধারিত কিছু গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুযোগ পাবে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যানবাহনের জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে।'


'তবে, মোটরসাইকেল, সাইকেল এবং থ্রি-হুইলার চলতে দেওয়া হবে না। ঢাকা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ২০১১ সালের জুন মাসে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) আওতায় প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শেষ করার কথা ছিল।' কিন্তু নকশা বদল, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, অর্থের সংস্থানসহ নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা পাঁচবার পেছায়। শুরুতে উড়ালসড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় আট হাজার ৭০৩ কোটি টাকা।

'প্রধানমন্ত্রী মাত্র ১৪ মিনিটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হলেন'

২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকায়। সর্বশেষ ট্যাক্স, ভ্যাটসহ প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৬ হাজার কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ১৫৩ টাকা। ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এতে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত