প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১১ দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ধর্ষণ মামলায় দুইজন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি ২৪খবরবিডিকে নিশ্চিত করেন ওই আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি রকিবুদ্দিন আহমেদ।'
'নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ২৪খবরবিডিকে বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে মামুনুল হকের সমর্থকরা ভিড় করে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে সরিয়ে দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা এক নারীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে আটক
'নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১১ দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ'
করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেন। ঘটনার পর তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। পরে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে। ১৮ এপ্রিল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে ওই মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। ওই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে শুরু থেকেই মামুনুল হক ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করে আসছেন।'