সর্বশেষ

'বিজেপি অতীতের মতো আগামীতেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী': নাড্ডা

প্রকাশ :


/ বিজিপি নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল /

২৪খবরবিডি: 'প্রতিবেশি ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, তার দল এই অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে অতীতের মতো আগামীতেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। সোমবার (৭ আগস্ট) দিল্লি সফররত আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নিজ বাসভবনে বৈঠককালে এসব কথা বলেন তিনি। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, 'আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিজেপির দীর্ঘদিনের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে আমরা দলীয় পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদার করে এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।'
 

'আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রতিনিধি দলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অ্যারোমা দত্ত, অধ্যাপক মেরিনা জাহান এমপি উপস্থিত ছিলেন। বাসস থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জঙ্গিবাদ দমন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। নাড্ডা বলেন, '১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তৎকালীন তরুণ সংসদ সদস্য ও পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ১৯৭১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রস ্তাব উত্থাপন করেছিলেন।' বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।' বিজেপি সভাপতি শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, 'বাংলাদেশ এখন সব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় দৃষ্টান্ত, যা দেখে আমরাও খুশি।' তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশেই নয় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বর্তমান সরকারের আমলে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সমাধান হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে, যা দুই দেশের বন্ধুত্বের মাত্রাকে করেছে আরও শক্তিশালী। আমরা দুই দেশের মধ্যকার সরকারের চলমান সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই।' বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাসসকে বলেন, 'প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।' তিনি বলেন, 'আমরা বিজেপি সভাপতির সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিজেপির মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'


'অতীতে দেশ দু'টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দলীয় বা সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছে।' এই সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। বিজেপির সভাপতির সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকের আগে বিজেপির দিল্লীস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের আলাদা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনায় দুই দেশ ও দুই রাজনৈতিক দলের বন্ধুত্বের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। বৈঠকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তড়ে বলেন, 'ভারত বাংলাদেশের মধ্যে

'বিজেপি অতীতের মতো আগামীতেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী': নাড্ডা

বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দল সবসময় এ সম্পর্ক অটুট রাখতে কাজ করে যাবে।' পরে সে দেশের জাতীয় সংসদ ভবনে ভারত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয় শংকরের সঙ্গেও সফররত আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। এ সময় জয় শংকর বলেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দুই দেশের মধুর সম্পর্ক অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে আলাদা।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত