প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।'
এই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নিয়ে আলাদা করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে যাতে বিএম কনটেইনার ডিপোর নিরাপত্তা, কাস্টমসের গাফিলতিসহ নানা দিক নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হবে।
'রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ের সময় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের তিন দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রতিবেদন আসার পর আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব, যাতে এনবিআর সদস্যরাও থাকবেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি আজকের মধ্যেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে যাই তাহলে আমরা এনবিআরের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব তদন্ত কমিটির বিষয়ে।
-চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বোঝাই কনটেইনার। এটির বিস্ফোরণ পুরো ঘটনাকে নিয়ে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
'ডিপোর একটি কর্ণারে টিন শেডের নিচে এমন দাহ্য রাসায়নিকের একাধিক কনটেইনার ছিল। এখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে শোনা গেছে এই কেমিকেলের বিস্ফোরণ।'
'এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, পণ্য আমদানিকারকরা ওই কেমিকেল আমদানি-রপ্তানির বিষয়ে আগেই কাস্টমসকে জানিয়েছিল কি না বা তাদের অনুমোদন ছিল কি না সেটি তদন্তে উঠে আসবে।'
-তিনি বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের আগুনে যদি পানি ছিটানো হয় তাহলে বিক্রিয়া বেশি হওয়ার কথা। সে ধরণের অবস্থায় কী ধরণের মেজার নেওয়া হয়েছে তা তদন্তের বিষয়ে। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম, হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কথা। তবে কি ধরণের মেজারমেন্ট নেওয়া দরকার ছিল বা নেওয়া হয়েছে তা তদন্তের আগে বলা মুশকিল।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তদন্ত করবে নৌ মন্ত্রণালয়ও
'বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখভাল করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ফ্রেড ফরোয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে।'
সীতাকুণ্ডের ডিপোতে বিস্ফোরণের পর প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলছেন, এই মনিটরিং টিম ঠিকঠাক কাজ করেছে কি না তাও তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
-খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ওই ডিপোতে এক শিফটে দুই থেকে আড়াইশ লোক কাজ করেন। শনিবার রাতে দুই শিফটের মানুষ একসাথে কাজ করছিলেন। প্রায় ৬০০ জন মানুষ ছিলেন সেখানে। এখন আমাদের প্রথম কাজ মানুষের জানমাল রক্ষা করা।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে প্রথমে আগুন লাগার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
'ভয়াবহ বিস্ফোরণে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ এসেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। ২৪খবর বিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন।'
-নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০ জনসহ দেড়শতাধিক লোক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।