সর্বশেষ

'দেশে চলতি বছরের ৬ মাসে নির্যাতন-হয়রানির শিকার ১১৯ সাংবাদিক': আসক

/ দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৪ ব্যক্তি নিহত /

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন—এই ছয় মাসে ১১৯ জন সাংবাদিক নির্যাতন, হুমকি, মামলা, হয়রানি ও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৯ জন এবং চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলায় আটজন করে সাংবাদিক রয়েছেন। একই সময়ে ১৭৯টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৪ জন নিহত এবং দুই হাজার ৪২২ জন আহত হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ছয় মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।'
 

'গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। আসক জানায়, ১০টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল এবং তাদের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে মানবাধিকার পরিস্থিতির সংখ্যাগত এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয় মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হেফাজতে চার ও গুলিতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া ২৪টি মামলায় আসামির সংখ্যা ৬০। এর মধ্যে তাত্ক্ষণিক ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৪টি মামলার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে পাঁচটি, যেখানে পাঁচ আসামির মধ্যে তাত্ক্ষণিকভাবে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময়ে কারা হেফাজতে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন কয়েদি ও ২৭ জন হাজতি। দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ছয় মাসে ৮০৪ শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১০৯ জনকে। এ সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে ১১ বাংলাদেশি নি হত ও ১৪ জন আহত হয়। ছয় মাসে পাঁচটি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনটি বাড়িঘরসহ একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এর বাইরে ১৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় একজন নিহত ও কমপক্ষে ৬২ জন আহত হয়; ১০৩টি বাড়ি ও ৩৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। 'এ ছাড়া ছয় মাসে ১৫৪ জন নারী-পুরুষ যৌন হয়রানিমূলক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।'এর মধ্যে ৭৯ জন নারী এবং ৭৫ জন পুরুষ। ওই সময়ে ২৯৪ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা শিকার হয়েছেন ২০ জন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন তিনজন। ২৫৩ নারী পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১৫৬ জনকে হত্য করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে ৫৯ নারী আত্মহত্যা করেছেন। আর ছয় মাসে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৪ জন।'


'আসক মনে করে, মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যক। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বাড়তে থাকে। রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আসক।প্রতিবেদনে ছয় মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতির পরিসংখ্যানগত পর্যালোচনা করে

'দেশে চলতি বছরের ৬ মাসে নির্যাতন-হয়রানির শিকার ১১৯ সাংবাদিক': আসক

আসক বলছে, এ সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ছিল উদ্বেগজনক। এ ছাড়া বেআইনি আটকের অভিযোগ ও রহস্যজনক নিখোঁজ, সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়ন, সীমান্তে হত্যা, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের মতো ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিরোধ করে তুলতে প্ররোচিত করবে। সাংবাদিক ও সব মুক্তচিন্তা চর্চাকারীর বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে আসক।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত