প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত নিয়ে সোমবার কূটনৈতিক উদ্যোগে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ফোনালাপ করেছেন সংঘাতে লিপ্ত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সঙ্গে। এছাড়া আঞ্চলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরান, মিসর ও সিরিয়ার নেতার সঙ্গে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য এই প্রচেষ্টা তার। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ইরান এবং গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক রয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে মস্কোর। রাশিয়া বলে আসছে, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উপেক্ষা করছে।'
'চীন ও রাশিয়া উভয়েই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। দুই দেশ বলে আসছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচারের অভাব। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা মিলিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চায়। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে এসব ভূখণ্ড দখল করেছে ইসরায়েল। ক্রেমলিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেছেন,
'ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য প্রচেষ্টা পুতিনের'
আমরা মনে করি এই পরিস্থিতিতে প্রধানত যা করা উচিত তা হলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং রাজনৈতিক সমাধানের প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণ। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বেইজিংয়ে ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাত নিয়ে চীনা পররাষ্ট্র ওয়াং ইয়ির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ল্যাভরভ বলেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ শক্তিদের সক্রিয় ভূমিকা রাখা উচিত।'