সর্বশেষ

'বাইডেন-মোদি বৈঠক: দক্ষিণ এশিয়া ছিল আলোচনায়'

প্রকাশ :


/ ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি / এএফপি

২৪খবরবিডি: 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে আলোচনায় ছিল দক্ষিণ এশিয়া। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর ঘোষিত যৌথ বিবৃতিতে এ অঞ্চলের প্রসঙ্গ এসেছে। এই বিবৃতিতে প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা না হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় ও আঞ্চলিক বহুদেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভারত-আমেরিকা যৌথ 'মানবিক কল্যাণে' কাজ করবে বলা হয়েছে। মূলত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবাধ ও মুক্ত পরিবেশ তৈরি করাই হবে প্রধান কাজ। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম রাষ্ট্র।'
 

'হোয়াইট হাউসে মোদি-বাইডেন দ্বিপক্ষীয় একান্ত ও প্রতিনিধি স্তরের বৈঠকের পর বাংলাদেশ সময় ভোররাতে ৫৮ অনুচ্ছেদের যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। এতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত-আমেরিকা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক 'নয়া শিখরে' উন্নীত করার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া-ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করতে যৌথভাবে কাজ করার কথা উল্লেখ করে। এ সহযোগিতার অন্যতম শর্ত হলো- 'মানবিক অধিকার রক্ষা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ, স্বাধীন মতপ্রকাশ ও আইনের শাসনের অভিন্ন আদর্শ।' বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদি চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটা ভারতের নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বেগজনক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও আমেরিকা যেসব বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সংস্থায় যৌথভাবে কাজ করবে তার মধ্যে রয়েছে ভারত মহাসাগর রিম রাষ্ট্র, (যার অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ)।'


'এ বিষয়ে বাংলাদেশ আগেই জানিয়ে দিয়েছে, আর্থিক উন্নতির জন্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় জোটের বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই।' তবে সামরিক কোনো জোটে তারা থাকবে না। যৌথ বিবৃতিতে চীনের নাম না করে বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে দিল্লি-ওয়াশিংটন। এরপরের লাইনেই লেখা হয়েছে,

'বাইডেন-মোদি বৈঠক: দক্ষিণ এশিয়া ছিল আলোচনায়'

ভারত ও আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়াসহ আঞ্চলিক বিষয়ে গভীর আলোচনা করেছে। চলতি বছরেই ভারত মহাসাগরীয় শিখর সম্মেলন আয়োজন করছে আমেরিকা। বাংলাদেশি এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনীতিক বলেন, 'এই শিখর সম্মেলন হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন।'
 

'যৌথ বিবৃতিতে চীনের নাম উল্লেখ না করে আরও বলা হয়েছে- পূর্ব ও দক্ষিণ চীন উপসাগরে জাতিসংঘের নিয়মাবলি একতরফাভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এখানে অবাধে নৌ ও আকাশপথে বিমান চলাচল নিশ্চিত করা হবে। যৌথ বিবৃতিতে আঞ্চলিক ক্ষেত্রের মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতিসংঘ যেসব সন্ত্রাসবাদী সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক কূটনীতিক বলেন, 'কোনো অর্থ না খুঁজলেও এটা বলা যায়, যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের 'মানবাধিকার' প্রসঙ্গ উহ্য। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফর সফল। প্রতিরক্ষা থেকে মহাকাশ, এনার্জি, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমেরিকা ভারতকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য করাকে সমর্থন করেছে।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত